<p>শনি। গ্যাসীয় এক দৈত্য। গ্রহটি সৌরজগতের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহ। ৭০০ পৃথিবী জড়ো করলেও শনির সমান হবে না। তবে ভরে শনি পৃথিবীর মাত্র ৯৬ গুণের কিছু বেশি হবে। অনান্য গ্রহের তুলনায় এই গ্রহের ঘনত্ব সবচেয়ে কম। এমনকি পৃথিবীর পানির ঘনত্বের চেয়েও কম। </p> <p>শনির রয়েছে গভীর বায়ুমণ্ডল। হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাস আবৃত করে রেখেছে গ্রহটিকে। দ্রুত ঘূর্ণিতে বায়ুমণ্ডল বাইরের দিকে জড়ো হয়। ফলে মেরুর তুলনায় বিষুবে ১০ শতাংশ প্রস্থে বাড়ে। ঘূর্ণনের হার থেকে পাওয়া যায়, শনির এক দিনের হিসেবে বিষুবরেখার চেয়ে মেরুতে ২৫ মিনিট বেশি। </p> <p>গ্রহটির ৬০-এরও বেশি প্রাকৃতিক উপগ্রহ রয়েছে। এক কিলোমিটারের চেয়েও ছোট দৈর্ঘ্যের বামুন চাঁদ থেকে বিশাল টাইটান পর্যন্ত। টাইটানের ব্যাস ৫, ১৫০ কিলোমিটার; বুধ গ্রহের চেয়েও শনির এই চাঁদটি বড়। এরও একটা স্তরযুক্ত বায়ুমণ্ডল আছে। আছে স্থিতিশীল পৃষ্ঠে তরল বস্তু। অপরদিকে রয়েছে ফোবি, শনির অন্যতম ছোট চাঁদ। </p> <p><b>ইতিহাস</b><br /> শনি প্রাচীনকাল থেকেই মানবজাতির কাছে পরিচিত। এর রয়েছে সুদৃশ্য বলয় ও চাঁদের বৈচিত্রের বাহার। ইংরেজি স্যাটার্ন রোমান ধনসম্পদ ও কৃষিদেবতা স্যাটার্নের নাম থেকে এসেছে। শনির জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক চিহ্ন (♄) সেই দেবতার কাস্তে নির্দেশ করে। বাংলায় নামটি হিন্দু গ্রহদেবতা শনির নামে।</p> <p><strong>পরিমণ্ডল</strong><br /> শনির অনন্য তার বলয়ে। এই বলয় বরফ ও পাথর টুকরোতে গঠিত। ১০ কোটি বছর আগে মহাকর্ষ বলে বিচ্ছিন্ন একটা ছোট চাঁদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায়। শনির বিষুবরেখার ওপরে প্রায় ৬,৪০০-১,২০,৭০০ কিলোমিটার (৪,০০০-৭৫,৭০০ মাইল) এলাকায় বিস্তৃত হয়। বলয়গুল ১০০ মিটার বা ৩২৫ ফুট পুরু। শনি সূর্যের চারপাশে একবার ঘুরে আসতে সময় নেয় ২৯ বছর ৬ মাস। এ সময়ে বলয়ের অবস্থাও পরিবর্তন হতে থাকে। বলয়ের ঘনত্ব কোথাও কম থাকে, কোথাও বেশি।</p> <p><strong>সম্পর্কিত বিষয়</strong><br /> বৃহস্পতি<br /> গ্রহাণু</p> <p><strong>বিজ্ঞানী</strong><br /> <strong>জিওভানি ক্যাসিনি</strong><br /> ১৬২৫-১৭১২<br /> ফরাসি-ইতালীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী। যিনি শনির চারটি চাঁদ পরিপূর্ণ আবিষ্কার করেছিলেন।</p> <p><strong>ক্রিশ্চিয়ান হাইগেনস </strong><br /> ১৬২৯-১৬৯৫<br /> ডাচ জ্যোতির্বিজ্ঞানী। যিনি শনির উপগ্রহ টাইটান আবিষ্কার করেছিলেন।</p> <p><strong>বর্ণনা</strong><br /> ক্যারোলিন ক্রফোর্ড<br />  </p>
