<p>পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির আবেদনের সময়সীমা বৃদ্ধি করে অন্তত একবার আবেদনের সুযোগ চায় ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনধারী ৭৩৯ জন প্রার্থী। ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনে পাস করে বয়স ৩৫ শেষ হয়েছে, এমন প্রার্থীরা এ সুযোগ চান। আজ বুধবার (২২ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন ফোরামের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানিয়েছেন তারা।</p> <p>মানবন্ধনে ভুক্তভোগীরা বলেন, এনটিআরসিএর অদক্ষতা ও অবহেলায় ১৭তম নিবন্ধনের কার্যক্রম শেষ করতে প্রায় চার বছর লেগেছে। ১৭তম শিক্ষক  নিবন্ধনের সার্কুলার ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারিতে কিন্তু করোনা ও এনটিআরসিএর গড়িমসির কারণে এই পরীক্ষা আয়োজন শেষ করতে ৪ বছরের বেশি সময় প্রয়োজন হয়। সর্বশেষ গত বছর ২৮ ডিসেম্বর চূড়ান্ত ফলাফল হয়। ইতিমধ্যে এনটিআরসিএর তথ্য মতে ৭৩৯ জনের চাকরি প্রার্থীর ৩৫ বছর বয়স শেষ হয়েছে কিন্তু কেন আমরা বয়সের ব্যাকডেট চাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বুঝেও না বোঝার ছলনা করে। </p> <p>১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনধারীদের দাবি, এনটিআরসিএর নিবন্ধনে পাস করা কি আমাদের অপরাধ? আমাদের বিষয় উপেক্ষা করে গত (৩১ মার্চ) পঞ্চম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত করে এনটিআরসিএ। ওই পঞ্চম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আবেদন গত ১৭ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে চলতি মাসের ৯ মে শেষ হয়েছে। এ ছাড়া চলতি মাসেই প্রাথমিক সুপারিশ করা হতে পারে। অথচ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৯৬ হাজার ৭৩৬ শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের পঞ্চম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ২৪ হাজারেরও কম প্রার্থী আবেদন করেছে ১৬ ও ১৭ তম নিবন্ধনধারীরা।</p> <p>মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা আরো বলেন, এনটিআরসিএর নিবন্ধনে পাস করা ১৭তম পঞ্চম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি–বঞ্চিত চাকরিপ্রত্যাশীরা বয়সের ব্যাকডেট চেয়ে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ)-সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে স্মারকলিপি দিয়েছি ও মানববন্ধনও করেছে।</p> <p>তারা বলেন, এনটিআরসিএর তুঘলকি কাণ্ডে পঞ্চম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছি। এর প্রধান কারণ হচ্ছে, এমপিও নীতিমালায় আছে এনটিআরসিএ প্রতি বছর একটি করে পরীক্ষা নেওয়া ও একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার মাধ্যমে পরীক্ষার কার্যক্রম সম্পন্ন করা। কিন্তু এনটিআরসিএ তা করতে ব্যর্থ হয়েছে তাদের সাথে। অথচ বিধি অনুযায়ী শূন্য পদের বিপরীতে ১৭তম প্রার্থীকে পাস করিয়েছে।</p> <p>১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন প্রার্থীরা বলেন, এনটিআরসিএর নিয়ম নীতি অনুসারে ১ বছর সময়ের মধ্যে পরীক্ষার আয়োজন করলে আমরা তিনটা গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করার সুযোগ পেতাম। এমনকি ২০২২ সালে জন প্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক ৩৯ মাসের বয়সের ছাড় দেওয়া হয়েছে। সেই  ছাড়ের প্রকৃত দাবিদার আমরা। কিন্তু আমরা তা পাইনি। এখন সরকার ঘোষিত সেই ছাড় দিলে ৭৩৯ জন সবাই আবেদন করতে পারবে।</p> <p>এ ছাড়া প্রচলিত এনটিআরসিএর বিভিন্ন নিয়ম-কানুন বাদ দিয়ে তাদের যৌক্তিক দাবি প্রধানমন্ত্রী মানবতার মা দেশরত্ন শেখ হাসিনা করোনা মহামারি ও এনটিআরসিএর গাফিলতির বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবে বলে আমাদের একান্ত বিশ্বাস।</p>