<p>অবৈধভাবে নিয়োগের কারণে বন্ধ হলো মালদ্বীপ শ্রমবাজার। এই শ্রমবাজারে বাংলাদেশ থেকে আর কোনো অদক্ষ কর্মী নেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে। গতকাল বুধবার মালদ্বীপে অবস্থিত বাংলাদেশি হাইকমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।</p> <p>বাংলাদেশি হাইকমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মালদ্বীপের বর্তমান আইন অনুযায়ী এক দেশ থেকে এখানে এক লাখ কর্মী কাজ করতে পারে।</p> <p>সেই পরিপ্রেক্ষিতে মালদ্বীপ সরকার কর্তৃক বাংলাদেশিদের জন্য নতুন ওয়ার্ক ভিসা দেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে হাইকমিশন কর্তৃক বাংলাদেশের কোটা বাড়ানো এবং আবার ভিসা চালু করার বিষয়ে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয় যে ‘ফ্রি ভিসা বলতে এখানে কিছু নেই। কর্মীরা যেই কম্পানির ভিসা পেয়েছেন, সেখানেই কাজ করতে হবে।</p> <p>এই আইন ভঙ্গ করলে কর্মীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এরই মধ্যে বাংলাদেশের বেশ কিছু অদক্ষ শ্রমিককে এ কারণে গ্রেপ্তার করে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তাই এখন যাঁরা এ দেশে কর্মরত রয়েছেন এবং ভবিষ্যতে মালদ্বীপে আসবেন তাঁদের সবাইকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।’</p> <p>এর আগে গত মঙ্গলবার মালদ্বীপের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ফাতিমাথ রিফাথ স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মালদ্বীপের কিছু কম্পানি জাল কাগজপত্র দিয়ে কর্মী নিয়োগ করেছে। তাই গত এক মাস আগে বাংলাদেশ থেকে অদক্ষ কর্মী নিয়োগ বন্ধ করা হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।’ </p> <p>২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ থেকে অদক্ষ কর্মী নিয়োগের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ। পরে নতুন প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজুর প্রশাসন গত বছরের ডিসেম্বরে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিল। গেল বছরের ডিসেম্বরে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইহুসান বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য এক লাখ ৩৯ হাজার ২২০টি ওয়ার্ক পারমিট আগে থেকেই রয়েছে। তাঁদের মধ্যে ওয়ার্ক পারমিট ফি নিয়মিতভাবে দিয়ে বৈধ আছেন মাত্র ৩৯ হাজার চারজন।</p>