<p>ময়মনসিংহের ভালুকায় পারিবারিক কলহের জেরে ছেলের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে মারা গেছেন স্কুল শিক্ষক মজিবুর রহমান পান্না (৪৯)। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার পূর্ব ভালুকা কোনাপাড়া গ্রামের নিজ বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে। তিনি ভালুকা কোনাপাড়া গ্রামের সালামত সরকারের ছেলে।</p> <p>নিহত পান্না মিরকা হাসিনা বানু উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও ভালুকা ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক ছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ঘটনার রাতেই ছেলে ভালুকা সরকারি কলেজের ছাত্র মারুফ আহম্মেদ রাব্বিকে (১৭) আটক করেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আজ শনিবার (২৬ এপ্রিল) ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। </p> <p>স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রায় তিন বছর আগে দ্বিতীয় স্ত্রী আছমা আক্তার ও স্কুল শিক্ষক মজিবুর রহমান পান্নার ছাড়াছাড়ি হয়। এর পরও আছমার কাছে তাঁর যাওয়া-আসা ছিল। এ নিয়ে বিরোধের জেরে শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রথম স্ত্রী রোকেয়া খাতুনের সঙ্গে পান্নার ঝগড়া হয়। ওই সময় তাঁর ছেলে মারুফ আহম্মেদ রাব্বি মায়ের পক্ষ নিয়ে বাবার সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে সে হাতে থাকা কাঁটা কম্পাস দিয়ে বাবার বুকে ও পিঠে আঘাত করে। এ সময় পান্না মাটিতে লুটে পড়েন। দ্রুত উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।</p> <p>ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মোহাইমিনুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মজিবুর রহমান পান্নার মৃত্যু হয়েছে। তাঁর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।</p> <p>ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ কামাল আকন্দ জানান, পান্নার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই ঘটনায় কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁর ছেলে মারুফ আহম্মেদ রাব্বিকে আটক করা হয়েছে। আঘাতে ব্যবহৃত কাঁটা কম্পাসটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</p>