<p>নীলফামারীর জলঢাকা পৌরসভার মেয়র পদে রবিবার (২৮ এপ্রিল) উপনির্বাচন। ওই নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সভাপতি (বহিষ্কৃত) ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরীর পক্ষে নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আসনের এমপির প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ করেছেন পৌর আওয়ামী লীগ। শনিবার বিকেলে জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ওই অভিযোগ করা হয়। এর আগে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী নাসিব সাদিক হোসেন নোভা রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।</p> <p>সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জলঢাকা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেয়র প্রার্থী নাসিব সাদিক হোসেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হরিপদ রায়, আবু বক্কর সিদ্দিক, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পদক সোনা মিয়া, উপজেলা মোটর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ প্রমুখ।  </p> <p>সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জলঢাকা পৌরসভার উপনির্বাচনে পৌর আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী নাসিব সাদিক হোসেন নোভা। পৌর আওয়ামী লীগের অন্যতম নেতা সাবেক মেয়র মরহুম ইলিয়াস হোসেন বাবলুর ছেলে তিনি। দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী এবং জলঢাকা জামায়াতের আমির ছাদের হোসেনের বিরুদ্ধে তাঁকে প্রর্থী করা হয়। এ অবস্থায় জলঢাকা আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য কেন্দ্রীয় যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন পাভেল গত ২৫ এপ্রিল পৌরসভার নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিএনপির প্রার্থীর পক্ষ নিয়ে ভোটারদের হুমকি-ধমকি, কালো টাকা বিতরণ করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীকে পরাজিত করার অপকৌশলে লিপ্ত হন। এ বিষয়ে নাসিব সাদিক হোসেন নোভা ২৬ এপ্রিল রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। এর পরও এমপি এলাকায় অবস্থান করে একই অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন।</p> <p>ওই সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়,‘সংসদ সদস্য সাদ্দাম হোসেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য হওয়ায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে ব্যবহার করে আইনের তোয়াক্কা না করে সকল অন্যায় কাজকে ন্যায়ে পরিণত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোক্তারুল আলম তাঁর সকল অবৈধ কাজে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন। এ অবস্থায় নির্বাচন প্রভাবমুক্ত করতে ওসি মোক্তারুল আলমকে প্রত্যাহার করা অত্যন্ত জরুরি।’</p> <p>অভিযোগ অস্বীকার করে জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোক্তারুল আলম বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে আমরা সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। গতকাল ২৬ এপ্রিল রাত ১২টায় পৌর এলাকায়  সকল প্রকার প্রচার-প্রচারণা ও মাইকিং বন্ধ করা হয়েছে। শনিবার পৌর আওয়ামী লীগের পক্ষে যে মাইক বের করেছিল সেটা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আটক করেছেন।’</p> <p>এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সংসদ সদস্য সাদ্দাম হোসেন পাভেলের মোবাইল নম্বরে কল করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।</p> <p>নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’</p> <p>উল্লেখ্য, জলঢাকা পৌরসভার মেয়র মো. ইলিয়াস হোসেন বাবলু ২০ জানুয়ারি ইন্তেকাল করলে সেখানে মেয়রের শূন্যপদে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আগামী ২৮ এপ্রিল ইভিএমে ওই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন ওই পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী (রেল ইঞ্জিন), উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির মো. ছাদের হোসেন (মুঠোফোন) ও সাবেক মেয়র মরহুম ইলিয়াস হোসেন বাবলুর ছেলে নাসিব সাদিক (নারিকেল গাছ)। ইলিয়াস হোসেন উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।</p>