<p>কথাসাহিত্যিক আহমদ বশীরের ‘বাংলাদেশের চলচ্চিত্র : দেশকাল ও শিল্পরূপ : ১৯৪৭-২০১৭’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসব রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ অডিটোরিয়াম নুভেল ভাগে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ ও দ্যু প্রকাশন অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে ওই অনুষ্ঠানে আয়োজন করে।</p> <p>শনিবার (২৭ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বইটির সম্পাদক ফয়সাল আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন চলচ্চিত্র সাংবাদিক ও সমালোচক অনুপম হায়াৎ, গবেষক ও সম্পাদক ড. কাজল রশীদ শাহীন, চলচ্চিত্র গবেষক ও আলোকচিত্র শিল্পী মীর শামছুল আলম বাবু এবং স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষক কবি সাকিরা পারভীন। এ ছাড়াও বক্তৃতা করেন আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ ডি ঢাকা’র পরিচালক ফ্রঁসোয়া ঘ্রোজঁ ও দ্যু প্রকাশনের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কানিজ ফাতিমা।</p> <p>অনুষ্ঠানে অনুপম হায়াৎ বলেন, লেখক একজন কথাসাহিত্যিক। তিনি বইয়ে শক্তভাবে তার অ্যাটিচিউডের স্বাক্ষর রেখেছেন। সেটা বইটির সর্বত্র বিদ্যমান। এটাই তাকে আলাদা করেছে।</p> <p>ড. কাজল রশীদ শাহীন বলেন, বইটির মূল ফোকাস জাতীয় চলচ্চিত্রের দিকে। লেখক তার বইয়ে সে বিষয়ে একটি অধ্যায় যুক্ত করেছেন বিষয়টির গুরুত্ব বোঝানোর জন্য। জাতীয় চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আমরা নিজেদের ভালোভাবে জানতে ও বুঝতে পারি। নিজেদের শক্তি ও দুর্বলতা সম্পর্কে জেনে বাইরের আগ্রাসনকে উপেক্ষা ও মোকাবেলা করতে পারব।</p> <p>শিল্পী মীর শামছুল আলম বাবু বলেন, রূপবান বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের বাঁকবদল ঘটিয়েছে। সেটা এক বিরাট ঘটনা। বইটির সবচেয়ে ভালো দিক হলো, বইয়ে উল্লিখিত সবগুলো চলচ্চিত্র লেখক দেখেছেন এবং গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন। বইটি পড়লে সেটা ভালোভাবেই বোঝা যায়।</p> <p>কবি সাকিরা পারভীন বলেন, বইটিতে চলচ্চিত্র মূল্যায়নের ক্ষেত্রে তিনি প্রথাগত পদ্ধতি প্রয়োগ না করে তার নিজের পদ্ধতি-পর্যবেক্ষণ অনুসরণ করেছেন। তাই সবার সাথে লেখকের মতামত নাও মিলতে পারে। কিন্তু বইটি পাঠ করা জরুরি।</p> <p>বইটির লেখক আহমদ বশীর অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি তাঁর শৈশবরে সিনেমা দর্শনের স্মৃতিচারণ করেন। একইসঙ্গে বইটি রচনার প্রেক্ষপট বর্ণনা করেন। এরপর উন্মুক্ত প্রশ্নত্তোর পর্বে দর্শকদের করা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন লেখক আহমদ বশীর।</p>