<p dir="ltr">শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১২ রান। হাতে ২ উইকেট। তবে নবম উইকেটে ৩১ রানে জুটিটা আর বড় করতে পারলেন না জশ ক্লার্কসন ও বেন সিয়ার্স। ২০তম ওভারের প্রথম বলটি ওয়াইড দেন মোহাম্মদ আমির। সে বলে রান আউট হয়ে ফেরেন সিয়ার্স। এক বল পর আবার রানআউট। এবার ফেরেন নতুন ব্যাটার উইলিয়াম ও'রুর্ক। অন্যপ্রান্তে দাঁড়িয়ে দলের ৯ রানের হার দেখেন ক্লার্কসন।</p> <p> </p> <p dir="ltr">লাহোরে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের দেওয়া ১৭৯ রান তাড়া কর‍তে নেমে ১৬৯ রানে থামে নিউজিল্যান্ড। এই জয়ে সমতায় সিরিজ শেষ করল স্বাগতিকরা। সিরিজের প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে পণ্ড হয়। দ্বিতীয় ম্যাচটি পাকিস্তান জিতলেও পরের দুটি জিতে এগিয়ে যায় কিউইরা।</p> <p> </p> <p dir="ltr">সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় পাকিস্তান। ব্যক্তিগত ১ রানে আউট হন ওপেনার সায়েম আইয়ুব। তবে অধিনায়ক বাবর আজম এদিন স্ট্রাইক রেটে সমালোচকদের একহাত নিয়েছেন। ১৫৬.৮১ স্ট্রাইকরেটে ৪৪ বলে ৬৯ রানের দারুণ ইনিংস খেলার পথে হাঁকান ৬টি চার ও ২টি ছক্কা। তিনে নেমে ২৪ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলেন উসমান খান।</p> <p> </p> <p dir="ltr">তবে রান পেলেও হতাশ করেন চারে নামা ফখর জামান। ৯ম ওভারে ব্যাটিংয়ে নেমে শেষ ওভারে বিদায় নেওয়ার আগে ৩৩ বলে করেন ৪৩ রান। শেষ দিকে শাদাব খানের ৫ বলে ১৫ রানের ক্যামিও ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রানের পুঁজি পায় পাকিস্তান।</p> <p> </p> <p dir="ltr">জবাব দিতে নেমে দলীয় ৫ রানে টম ব্লান্ডেলকে হারায় সফরকারীরা। তবে টিম সেইফার্ট ও অধিনায়ক মাইকেল ব্রেসওয়েলের ব্যাটে কিউইরা ঘুরে দাঁড়ায়। ৮১ রানে এই জুটি ভাঙলে আবারো খেই হারিয়ে ফেলে তারা। সেইফার্ট ৩৩ বলে ৫২ ও ব্রেসওয়েল ২১ বলে ২৩ রান করে বিদায় নেন। মূলত পাকিস্তানি পেসার শাহিন আফ্রিদি ঘুরিয়ে দেন ম্যাচের ভাগ্য। একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে নিউজিল্যান্ড, তাতে পাকিস্তান জয়ের সুবাস পেতে থাকে। যদিও জয় নিশ্চিতের জন্য অপেক্ষা করতে হয় শেষ ওভার পর্যন্ত।</p> <p> </p> <p dir="ltr">আমির প্রথম ২ ওভারে খরচ করে বসেন ২৯ রান। শেষ পর্যন্ত ৩.২ ওভারে খরচের খাতায় ছিল ৪১ রান। তবে ৩০ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করে শাহিন দলকে পথ হারাতে দেননি। ১৬৯ রানে কিউইরা অলআউট হলে সিরিজ ২-২ সমতায় শেষ হয়।</p>