<p><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.1pt">সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে না গেলে দল ভেঙে যাওয়ার শঙ্কা ছিল। তা ছাড়া শক্তিশালী কয়েকটি দেশ আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে সমর্থন দিয়েছিল। তাই তিনি নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। </span></span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:.1pt">গতকাল শনিবার রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাপার বর্ধিত সভায় জি এম কাদের এ কথা বলেন। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর দলের প্রথম বর্ধিত সভা এটি। মূলত কোন অবস্থায় জাপাকে নির্বাচনে যেতে হয়েছিল, সে বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি। </span></span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জি এম কাদের বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নির্বাচনের আগে তিনটি বড় শক্তি নির্বাচন সফল করতে চেয়েছে। আরো কয়েকটি দেশ সরকারকে সমর্থন দিচ্ছিল। তারা সিরিয়াসলি সরকারকে সমর্থন দিচ্ছিল। আমি বুঝতে পেরেছিলাম বিএনপির আন্দোলন সফল হবে না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চাপে পড়ে নির্বাচনে যাওয়ার প্রেক্ষাপট তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">১৬ ডিসেম্বর সবাইকে নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলাম। পরদিন নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার জন্য আমি সম্পূর্ণ প্রস্তুত ছিলাম। তারপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ চাপ আসা শুরু হলো। প্রত্যক্ষ চাপের কথা বলব না, আপনারা বুঝে নেবেন। পরোক্ষ চাপ হলো যদি নির্বাচনে না যাই তবে নির্বাচন হবে এবং জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনে নিয়ে যাওয়া হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন সমঝোতার বিষয়ে বিরোধীদলীয় নেতা জি এম কাদের বলেন, জাপার দেওয়া ১০০, ৭০ ও ৫০ জনের তালিকা অনুসরণ না করে ২৬ আসনে সমঝোতা করল আওয়ামী লীগ। কিন্তু জাতীয় পার্টির সঙ্গে সমঝোতার আসনেও ক্ষমতাসীনরা শক্তিশালী প্রার্থী রেখেছিল।  </span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কয়েকটি আসনে নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, তাঁকেও হারানোর চেষ্টা হয়েছিল। সরকার যাঁকে পাস করাতে চেয়েছিল, তিনি সংসদ সদস্য হয়েছেন। তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আওয়ামী লীগ আমাদের ব্যবহার করে একদলীয় রাজত্বের চিন্তা করেছে। তারা চেয়েছে অনুগত বিরোধী দল। তারা আমাদের গলায় পচা, গলা, মরা আবর্জনা ঢুকিয়ে দিয়ে অনুগত বিরোধী দল বানানোর চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তা আমরা হইনি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দলের কিছু নেতা জাতীয় পার্টির ছবি না দিয়ে আওয়ামী লীগের ছবি দিয়ে পোস্টার করেছেন জানিয়ে জি এম কাদের বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এটা মানা হবে না। যাঁরা গৃহপালিত বিরোধী দল হতে চান, চলে যান। গৃহপালিত হলে রাজনৈতিক মাঠ থেকে হারিয়ে যাবেন।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span>  </span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এবারের জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-১৮ আসনে স্ত্রী শেরীফা কাদেরকে প্রার্থী করা নিয়ে জাতীয় পার্টিতে যে বিরোধ তৈরি হয়েছে তা নিয়েও কথা বলেন জি এম কাদের। তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উত্তরায় জাপার শক্তিশালী ঘাঁটি ছিল। আমি দীর্ঘদিন এ এলাকায় রাজনীতি করেছি। ১০টি আসনের চেয়ে উত্তরার এই আসন বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমি চেয়েছি দলের শক্তিশালী অবস্থানের জন্য আমার স্ত্রী এখান থেকে নির্বাচন করুক।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দলে মনোনয়ন বাণিজ্য হয়নি দাবি করে তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমাকে কমপক্ষে ১০০ জন নেতাকর্মী দিনরাত ফোন দিয়ে বলেন, টাকা দেন, টাকা দেন। অথচ তাঁরা নির্বাচনে ছিলেন না। তাঁরা বলেছেন, আমি নাকি দল বিক্রি করে দিয়েছি, আমি নাকি মনোনয়ন বাণিজ্য করেছি। কোনো মনোনয়ন বাণিজ্য করিনি। কারো কাছ থেকে এক টাকা নেইনি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আওয়ামী লীগ প্রজাতন্ত্রের জায়গায় রাজতন্ত্র কায়েম করছে বলেও মন্তব্য করেন জি এম কাদের। তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমাদের কথা বলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। ক্ষমতা সব এককেন্দ্রিক। উনার (প্রধানমন্ত্রী) ইচ্ছায় ভোট হয়। কেউ ভোট করলে উনার অনুমতি নিয়ে করতে হবে। এভাবে চললে দেশে কোনো দলই টিকবে না। এখন এমন অবস্থা করা হয়েছে যে রাজনীতি করলে হয় ফুলের মালা না হয় ফাঁসির দড়ি গলায় নিতে হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আন্দোলন করতে নেমে বিএনপি কিছু ভুল করেছে বলেও মনে করেন জাতীয় পার্টির এই নেতা। তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমি জানতাম বিএনপির আন্দোলনে সরকার পতন সম্ভব নয়। ১০ লাখ নয়, এক কোটি মানুষ রাস্তায় নামলেও নির্বাচন বন্ধ হবে না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে পণ্ড হয় বিএনপির সমাবেশ। জি এম কাদের মনে করেন, সেদিন ভুল করেছে বিএনপি। গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় সমাবেশের দিন পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের প্রতি ইঙ্গিত করে জি এম কাদের বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিএনপি কিছু ভুল করে ফেলেছিল। তারা ফাঁদে পড়ে গিয়েছিল। নেতৃস্থানীয় লোকজন গ্রেপ্তার হলো, আন্দোলন বাধাগ্রস্ত হলো। বিএনপি আন্দোলনে পরাজিত হয়েছে। কিন্তু তারা একটা দায় আমার ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। তারা বলে, আমি না গেলে নাকি নির্বাচন হতো না। বিএনপি-জামায়াতের নিজেদের দোষ ঢাকার জন্য আমার ওপরে দোষ দেয়। জাপা না গেলেও নির্বাচন হয়ে যেত।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বর্ধিত সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্যে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমাদের ত্যাগী কিছু নেতাকর্মী আমাদের ভুল বুঝে চলে গেছেন। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই দেশে এরশাদের প্রতিনিধিত্ব করে একমাত্র জি এম কাদের। অন্য কেউ এরশাদের প্রতিনিধিত্ব করে না। তাই যাঁরা চলে গেছেন, তাঁরা ভুল করেছেন।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দলের কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, সালমা ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, প্রেসিডিয়াম সদস্য নাজমা আক্তার, ফখরুল ইমাম, নাসরিন জাহান রত্না, চেয়ারম্যানের স্ত্রী শেরীফা কাদেরও বর্ধিত সভায় অংশ নেন।</span></span></span></span></span></span></p>
