<p>বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, বেশ কিছুদিন ধরে সীমান্তে বিএসএফ পোকামাকড়ের মতো বাংলাদেশিদের হত্যা করছে। তা বাংলাদেশকে দেওয়া বিএসএফ-এর ওয়াদার বরখেলাপ বলে উল্লেখ করেন তিনি। </p> <p>আজ শনিবার (২৭ এপ্রিল) গণমাধ্যমকে পাঠানো এক বিবৃতিতে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আবুল কালাম নিহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়ে এ কথা বলেন তিনি। </p> <p>বিবৃতিতে সাইফুল হক বলেন, গত ৯ মার্চ ঢাকায় বিএসএফ প্রধান সীমান্তে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার না করার ঘোষণা দিয়েছিলেন।কিন্তু সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যা তারা বন্ধ করেনি। প্রায় প্রতি সপ্তাহে তারা বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা করছে। এটা বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতারণা ছাড়া আর কিছু নয়। ভারতের এসব তৎপরতা কোনো সৎ প্রতিবেশীর পরিচয় নয়; বরং তাদের বাংলাদেশ বিরোধী আগ্রাসী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ। </p> <p>তিনি বলেন, কেবল ২০২৩ সালে বিএসএফ হাতে ৩০ জনের বেশি বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। আর গত সাত বছরে বিএসএফ-এর গুলি ও অত্যাচারে প্রাণ হারিয়েছেন দুই শতাধিক বাংলাদেশি নাগরিক এবং আহত হয়েছেন অনেকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সীমান্তে লেনদেনে সমস্যা হলেই বিএসএফ মারমুখী হয়ে উঠে এবং গুলি চালিয়ে বাংলাদেশিদের প্রাণনাশ করে থাকে।</p> <p>তিনি আরো বলেন, সরকারের ভারত তোষণ নীতি, বিশেষ করে গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ সরকারের ভারত অনুগত পররাষ্ট্র নীতির কারণে সীমান্ত হত্যা বন্ধ হয়নি। তা ছাড়া পানির ন্যায্য অংশীদারিত্ব, বাণিজ্যিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠাসহ ভারতে বাংলাদেশ বিরোধী বহুমুখী অপতৎপরতা বন্ধ করানো যায়নি। </p> <p>সাইফুল হক বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যখন প্রায় প্রতিদিন ঘোষণা করছে, বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্ব এখন সর্বোচ্চ শিখরে তখন প্রায় প্রতি সপ্তাহে সীমান্তে বাংলাদেশের মানুষকে রক্ত দিয়ে এই বন্ধুত্বের নির্মম দায় শোধ করতে হচ্ছে।</p> <p>তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন,  সরকার সীমান্তে নিরিহ ও নিরস্ত্র বাংলাদেশিদের বর্বোরোচিত হত্যাকাণ্ড বন্ধ দূরের কথা, এর উপযুক্ত প্রতিবাদ করার ক্ষমতা পর্যন্ত হারিয়ে ফেলেছে। সীমান্তবর্তী লাখ লাখ মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা বিধানেও তাদের দৃশ্যমান ও কার্যকরি কোনো উদ্যোগ নেই। </p> <p>তিনি অনতিবিলম্বে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে সীমান্ত হত্যার শক্ত প্রতিবাদ ও তা বন্ধে বাস্তব পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি সীমান্ত অঞ্চলের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কার্যকরী উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানান।</p>